বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। ইউনেস্কো কর্তৃক নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য “Promoting literacy for a world in transtion; Building the foundation for sustainable and peaceful socities’. যা বাংলায় “পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার”; যা সময়ের গুরুত্ব বিবেচনায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭ নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭৩ ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁয়ে। এ দিনে ঠাকুরগাঁ-এর কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ।
সাক্ষরতা দিবসের কর্মসূচি হলো- আলোচনানুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সংবাদ সম্মেলন, পোস্টার প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত টক শো ও প্রতিবেদন প্রকাশ ইত্যাদি। ঢাকার অনুষ্ঠান হবে সকাল ১০টায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) প্রধান কার্যালয়, ২৩২/১ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ এভিনিউ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত আছে।
এ উপলক্ষে আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.গ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :