মেক্সিকোর পার্লামেন্টে আয়োজিত শুনানিতে হাজার বছরের পুরোনো দুটি দেহাবশেষ দেখানো হয়েছে সেই দেশের আইন প্রণেতাদের। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ভিনগ্রহের যান (ইউএফও) গবেষক দাবি করেছেন, দেহাবশেষগুলো কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর যাদের সাধারণত এলিয়েন বলা হয়ে থাকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) শুনানির এক পর্যায়ে কথিত এলিয়েনের মরদেহ দুটি প্রদর্শন করা হয়। মমি করা মরদেহ দুটি কাচে ঢাকা দুটি বাক্সে রাখা হয়। খবর রয়টার্স।
২০১৭ সালে পেরুর প্রাচীন শহর কুজকো থেকে এই দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কার্বন পরীক্ষার ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো। অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও গবেষক হাইম মসানের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মৃতদেহগুলোর ডিএনএর এক-তৃতীয়াংশই অজানা এবং তা পৃথিবীর জানা বিবর্তনের অংশ নয়। সাংবাদিক হাইম মসান বলেন, এদের পাওয়া গিয়েছিল এক ধরনের শৈবালের স্তর থেকে।
এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে মেক্সিকোর আইনপ্রণেতাদের এই দুটি মরদেহ দেখিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক বলেন, মহাবিশ্বে ‘আমরা (মানুষ) একা নয়’ এমন একটি বিষয়ের ওপর মেক্সিকোর কংগ্রেসের সদস্যদের নিয়ে একটি প্রদর্শনী ও শুনানির আয়োজন করা হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই শুনানিতে আইনপ্রণেতাদের এলিয়েনের কথিত দেহাবশেষ দেখানো হয়। সাংবাদিক মুসান আইনপ্রণেতাদের কাছে দাবি করেছেন, ‘এগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর প্রাণীজগতের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
যে দু’টি মরদেহ দেখানো হয়েছে, সেগুলোর হাতে মাত্র তিনটি আঙ্গুল রয়েছে এবং এগুলোর মাথা অনেকটা বড় ও সামনের দিকে প্রসারিত।
তবে অদ্ভুত এ দেহ দুটি সত্যিই এলিয়েনের কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ পূর্বেও এ ধরনের দেহ পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে বিষদ পরীক্ষা ও বিশ্লেষণে পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলো প্রাচীনকালে মানব শিশুর মমিকৃত দেহ ছিল।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :