জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দাবি আদায়ে বৈশ্বিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন, সাইকেল র্যালী ও বিষয়ভিত্তিক মূকাভিনয় প্রদর্শিত হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নাগরিক সমাবেশ, মানববন্ধন, সাইকেল র্যালী, নৌবন্ধন, নদীতে অবস্থান-মানববন্ধন, ফুটবল টুর্ণামেন্ট, প্রতীকি পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপন, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ নানান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন ও জাতিসংঘ মহাসচিব (ইউএনএসজি) ঘোষিত ইউএনএসজি ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিট-২০২৩ সামনে রেখে ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন এন্ড ফুসিল ফুয়েলস ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক এই কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি) ও এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্ক এশিয়ার দেশসমূহে বিভিন্ন কর্মসূচীর সমন্বয় করছে। ওয়াটাকিপার্স বাংলাদেশ, ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্রতী, গ্লোবাল ল’থিংকার্স সোসাইটি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, এবং বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সাইকেল র্যালী, পরিবেশ বিষয়ক মুকাভিনয় ও নাগরিক সমাবেশের উদ্বোধন করেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলাতানা কামাল। ধারণা বক্তব্য তুলে ধরেন ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ। বক্তৃতা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুস্তফা কামাল আকন্দ, নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম তুববুস, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মনিরুজ্জামান মুকুল, ইকুইটি বিডি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতা প্রমূখ।
এ সময় মানবাধিকার কর্মী সুলাতানা কামাল বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরণের অনবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে বের হয়ে আসার বিকল্প নেই। ধনীদেশগুলোর অসহযোগিতার কারণে এ ধরণের পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম থেকে বের হয়ে আসা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলন ও ইউএনএসজি ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিটে অংশ নিতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জলবাযু পরিবর্তনের জন্য দায়ি দেশগুলোর কাছে ক্ষতিপুরণ দাবি করে শারমিন মুরশিদ বলেন, দেশব্যাপী কর্মসূচী পালন ও কর্মসূচীতে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষদের অংশগ্রহণ জীবাশ্ম জালানি থেকে মুক্তির দাবিকে শক্তিশালী করছে। বিশ্বনেতারা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজধানীর বাইরে বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদীতে অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার পাইকগাছায় ফুটবল টুর্ণামেন্ট, সাইকেল র্যালী ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরায় বৃক্ষরোপন, প্রাণসায়ের খালে প্রতীকি পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনায় সাইকেল র্যালী ও নাগরিক সমাবেশ, কক্সবাজারে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সিলেট, পিরোজপুর, গাজীপুর, পঞ্চগড়, সিলেটের জৈন্তপুর ও বিশ্বনাথ, বগুড়া, বরগুনা, কুয়াকাটা, তালতলী, মহেশখালী, পাথরঘাটা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পেকুয়া এবং বরিশালে পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/উ.র.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :