বেলা বাড়লে আবার তাপদাহ বেড়ে যায়; তখন বৃষ্টি হলেও ঢাকার বায়ুমানে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। ঢাকায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে বায়ু দূষণ। তবে বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানে মাঝে মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) বায়ু দূষণের শহরের তালিকায় ঢাকা অবস্থান ৪৯তম স্থানে অবস্থান করছে।
যদিও চলতি বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত বায়ু দূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকা। বৃষ্টি হওয়ায় মাঝে মাঝে ঢাকার দূষণে হেরফের হচ্ছে। তবে পরিমাণ মত বৃষ্টি কম হওয়ায় আবার তা বেড়েও যাচ্ছে। আজ বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা বায়ু দষণ অনেকটা কম।
মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের স্কোর রয়েছে ৫২। যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর দূষণের ৪৯তম স্থানে অবস্থান করছে।
বিশ্বের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহরগুলোতেও প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বায়ু দূষণ। নানাবিধ কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে আর তাই বিশ্বে বাড়ছে সব ধরনের দূষণ। কোনোমতেই কমানো যাচ্ছে না বায়ুদূষণ। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। আজ ঢাকার বাতাসের স্কোর রয়েছে মাত্র ৫২। বৃষ্টির কারণে আজ দূষণের মাত্রা কমেছে।
এ সময় বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আবার ১৫৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৫৩ স্কোর নিয়ে মালয়েশিয়ার কুচিং। আর বাংলাদেশের ঢাকা ৫২ স্কোর নিয়ে ৪৯তম তালিকাতে অবস্থান করছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে প্রতিনিয়ত। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :