ইন্টারসেকশন ট্রায়াল বেসিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সিগন্যাল সিস্টেম ঢাকার গুলশান-২ সিগন্যালের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সব ধরনের গাড়ির গতিবিধি। সিগন্যাল ছাড়ার আগে-পরে কতগুলো গাড়ি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে তা দেখা যাচ্ছে এআই ক্যামেরায়।
তথ্য বলছে, গত এক মাসে শুধু এই সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভেঙেছে ৩ লাখ গাড়ি। রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ঢাকা শহরে ২০২০ সালে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ২৫৪টি, ২০২১ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৬১টি, ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৮১২টি এবং চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৮৭ হাজার ৩৬২টি।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মোটরসাইকেল, এক লাখ ২০ হাজার ৮৪৮টি। এরপরে রয়েছে প্রাইভেটকার ১৪ হাজার ৯৪৬টি, জিপ গাড়ি ৯ হাজার ৩৫০টি এবং মাইক্রোবাস রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৫টি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগ যানজট কমানো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত এক মাস এ এলাকার গাড়ি চলাচল পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা ভয়াবহ। আইন ভেঙেছে ৩ লাখ বাহন। সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আইন ভঙ্গের হার বলছে, এ সিস্টেম চালু হলে রাজধানীজুড়ে একদিকে ভয়াবহ যানজট কমবে, অন্যদিকে যত্রতত্র পার্কিং কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার প্রবণতাও কমবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তখন সিগন্যাল সিস্টেমে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে যেভাবে প্রতিদিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে সেভাবে ঢাকার রাস্তা বাড়ছে না। বরং অনেকাংশে রাস্তা কমছে। যানজটের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। ঢাকা শহরে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ছুটির দিনেও রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :