সংবিধানকে সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ২৪ তম নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, এই স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদের আত্নত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মিত করা হয়েছে। আমি এবং আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য৷ তাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যাকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এই শপথে বলিয়ান থাকার জন্য আবারও আসলাম স্মৃতিসৌধে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২ টা ২০ মিনিটের দিকে সড়ক পথে এসে স্মৃতি সৌধের মুল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। পরে তিনি সৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন ও নিজের মন্তব্য লিখেন।
মন্তব্যে তিনি লিখেন, `ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদতবরনকারী সকল শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লাক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশর প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো।
বীর শহীদগণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রীম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিগনের পক্ষ থেকে সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
এক সাগর রক্তের বিনীময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।`
এর আগে, বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
একুশে সংবাদ/ন.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :