AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
আলু নিয়ে ভোক্তার ডিজি

বর্ডার খুলে দিলে কেজি হবে ২০-২৫ টাকা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:৩৯ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০২৩
বর্ডার খুলে দিলে কেজি হবে ২০-২৫ টাকা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এ মুহূর্তে দেশে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি। এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভুগছে। এখানে যৌক্তিক কিছু কারণ রয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যে ডলারের সমন্বয় করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। যার প্রভাব সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পড়ছে।

ভোক্তার ডিজি আরো বলেন, বর্ডার খুলে দিলে ভোক্তারা ২০-২৫ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারবেন। তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলে, এখন আমরা বর্ডার খুলে দিলে কৃষক বা আলু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পরের বছর তারা আলু উৎপাদনে উৎসাহিত হবে না। অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তার ডিজি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর উৎপাদন খরচ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়ী মহল, করপোরেট গ্রুপ বা যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে, তারা মাঝে মধ্যে একেকটা দ্রব্য নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে। এর বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।

নিয়ন্ত্রণহীন আলুর বাজার নিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী আলুর দাম নির্ধারণ করেছেন। খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা ও হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকায় বিক্রি করতে। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুপারিশ অনুসারে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আলু দেড়-দুই মাস আগেও যখন হিমাগার থেকে ২৩-২৪ টাকায় বিক্রি হত, তখনও তাদের লাভ থাকত। এমন কোনও কারণ উদ্ভব হয়নি বা খরচ বাড়েনি যে, সেটি ৩৬-৪২ টাকা পর্যন্ত হিমাগার থেকে বিক্রি হবে। যার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৫৫ টাকাও বিক্রি হয়েছে। এগুলো অস্বাভাবিক আচরণ।

তিনি বলেন, অনেকের মতামত যে, আলুর দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণের দুই সপ্তাহ পরও সরকারি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। এটি সত্য কথা। আবার এটাও সত্য কথা, আমাদের প্রচেষ্টার ফলে আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে ৬০-৭০ টাকা হয়নি বরং অন্তত ১০ টাকা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে এখন ৪০ টাকার মধ্যে আলু পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করেছি।

ভোক্তার ডিজি বলেন, প্রতিদিন আমাদের ৪০-৪৫টি টিম বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু এ অভিযান কী যথেষ্ট? এ অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আমাদের লজেস্টিক সমস্যা আছে। ১৭টি জেলায় আমরা কোনও কর্মকর্তা দিতে পারিনি। জেলায় যেখানে আমরা ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি, সেখানে উপজেলা বা বড় বড় হাটগুলোতে আমাদের অভিযান চালানোর সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কিছু দুর্বলতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইন যতই শক্তিশালী হোক বা জনবল দশ গুণ বাড়ালেও কী তা দিয়ে আমি বাজার নিয়ন্ত্রণ বা ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব? এটি কখনোই সম্ভব নয়, যতক্ষণ না আমাদের ব্যবসায়িক সমাজকে আমরা যুক্ত করতে না পারব। পাশাপাশি ভোক্তারা যতক্ষণ না নিজের অধিকার সম্পর্কে জেনে সেটি নিয়ে সোচ্চার না হবে, ততক্ষণ আমরা পারব না।

ভোক্তার ডিজি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমি বলতে পারি না আপনারা ডিম খাওয়া কমিয়ে দেবেন। এটি বলা ঠিক হবে না। আমরা ১৫ টাকার ডিম অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত করতে পারলাম। কিন্তু আমরা সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা অনেক চেষ্টা করেও করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের ডিম আমদানির পথ খুলে দিতে হয়েছে। এতে দেশীয় পোল্ট্রি হুমকির মুখে পড়বে তা আমরা জানি। কিন্তু এখানে যে চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটি ভাঙতে হলে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেল-জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজাপার্বণ বা কোনও উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না। জোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ চাহিদা বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনও অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চলছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেঁজগাও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল দুই লাখ টাকা ও রানার্স আপ দল এক লাখ টাকা পুরস্কার পাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!