জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, শিশুরা জাতির প্রাণ, তারাই ভবিষ্যত জাতি গড়ার কারিগর হবে। তাই সুন্দর আগামী নিশ্চিত করতে শিশুদের সুশিক্ষা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে `বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩` এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি`র সভাপতিত্বে `শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি` প্রতিপাদ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউনিসেফ বাংলাদেশের রিপ্রেজেনটেটিভ মিজ এমা ব্রিগহাম ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাপতি লাকী ইনাম বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক এবং শিশু একাডেমির প্রতিনিধি মাইশা জামান ও ফাতিম ইশরাত বর্নাঢ্য।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শৈশবকাল একটি বিশেষ সময়। ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সকালকে শৈশবকাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি বলেন, শৈশবকালের ভিত সুষ্ঠু করতে হলে শিশুদের মর্যাদাপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মায়ের গর্ভে শিশুদের প্রাণের সঞ্চার হয়। তাই শিশুদের পূর্ণাঙ্গ মানবিক বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের সুষম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় টীকা দান শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিশু শ্রম নিরসনে শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নিয়ে ইউনিসেফসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি বলেন, শিশুদের জন্য বিনিয়োগ সুনাগরিকের ভিত গঠনে সাহায্য করে। শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু বান্ধব বাজেট প্রণয়ন করেছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের বৈষম্য নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে স্পিকার শিশু একাডেমি প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি শিশুদের মনোজ্ঞ পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এ অনুষ্ঠানে আরমা দত্ত এমপি, সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিশু শিল্পী, অভিভাবকবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী এনজিও ফাউন্ডেশনের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সুশীল সমাজ, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :