দালালকে টাকা দিয়েও বিদেশ যেতে পেরেছেন এমন কর্মীর সংখ্যা শতকরা ৫০ শতাংশেরও কম। অনেকেই টাকা এবং পাসপোর্ট হারিয়ে ঘুরছেন নিঃস্ব হয়ে। মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৬৫টি দেশে প্রতিবছর গড়ে দশ লাখ কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকে। প্রচলিত ধারায় একজন কর্মী কখনোই সরাসরি রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ যেতে পারে না। এলাকার দালাল অথবা পরিচিত কারো মাধ্যমে কয়েক হাত ঘুরেই টাকা আসে এজেন্টের হাতে। আর কয়েক ধাপ পাড়ি দিতেই অভিবাসন ব্যয় হয় কয়েকগুণ।
তাই বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রতারণা থেকে মুক্ত রাখতে দালাল রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি বছর থেকে এজেন্সিগুলোকে নিবন্ধিত দালালের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। এমন বিধি জারি করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে এজেন্সিগুলো বলছে দালাল রেজিস্ট্রেশন নয় বরং সরাসরি কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিলে কমে আসবে প্রতারণা এবং অভিবাসন খরচ।
মন্ত্রণালয় বলছে, দালালের হাত থেকে অভিবাসী কর্মীকে রক্ষার জন্যই দালাল নিবন্ধনের কাজ করবে সরকার। এজেন্সিগুলোর মনোনীত দালালকেই টাকা দেবে প্রান্তিক পর্যায়ের অভিবাসন প্রত্যাশী।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, এক দালাল দশটা এজেন্টের সাথে থাকতে পারবে না। ফ্রি ফর অল হবে না। তাহলে যদি কেউ বিপদে পড়ে- আমরা গিয়ে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে ধরতে পারবো। তবে ভিন্ন মত রয়েছে এজেন্সিগুলোর মধ্যে। তাদের মতে, নিবন্ধন হলে দালালরা আরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দুই হাজারের উপরে এজেন্সির রেজিস্ট্রেশন থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের হয়ে কাজ করে অগণিত দালাল। সূত্র : একাত্তর টিভি
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :