যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো দলকে সমর্থন করে না এবং বাংলাদেশে নির্বাচনের ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে চায় না।
তিনি আরো বলেন, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক। বাংলাদেশিরা যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও সেটিই চায়।
স্থানীয় সময় সোমবার (২ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মিলার বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতাদের নির্বাচন করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র সেটাই চায়।
এর আগে, গত ২৭ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ভিসানীতি ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রায় চার মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু গণমাধ্যমকে বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। এটি মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।
তিনি বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই ভিসানীতি শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনের জন্য নয়, বরং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র্যাব এবং এর সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :