মিয়ানমারের কারাগারে সাজাভোগের পর দ্বিতীয় দফায় আরও ২৯জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরলেন। এর আগে, গত বছরের ২৩ মার্চ ৪১ বাংলাদেশি মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের গ্রেফতার করে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হয়।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের চলমান প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে এমন প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল।
ফেরত আসাদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজারের, চার জন বান্দরবান এবং দুই জন রাঙ্গামাটি জেলার। সীমান্ত পথে মিয়ানমারে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিপি তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সিতওয়ের কনসাল জাকির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ার ফে-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত এই বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সহযোগিতা কামনা করেন।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :