AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিশ্বমানের চোখ ধাঁধানো থার্ড টার্মিনাল; উদ্বোধন কাল


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:০৬ এএম, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
বিশ্বমানের চোখ ধাঁধানো থার্ড টার্মিনাল; উদ্বোধন কাল

সর্বাধুনিক যাত্রী সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। আগামীকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) স্বল্প পরিসরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যাত্রী চলাচলের জন্য টার্মিনালটি প্রস্তুত হতে সময় লাগবে আরও এক বছর।

এই টার্মিনালের মাধ্যমে সহজ ও স্বল্প সময়েই ইমিগ্রেশন করতে পারবেন যাত্রীরা। দেশে প্রথম অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। থার্ড টার্মিনাল এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নতুন প্রযুক্তি সংবলিত তৃতীয় টার্মিনাল এখন শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। মনোমুগ্ধকর নির্মাণশৈলিতে আকাশ পথের যাত্রী ও বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে পৌছাতে থাকবে না কোন যাত্রা ভোগান্তি।
 শাহজালালের চোখ ধাঁধানো থার্ড টার্মিনালে বদলে যাচ্ছে অ্যাভিয়েশন সেক্টর
এরই মধ্যে কাজ শেষ প্রায় ৯০ শতাংশ। শনিবার এই মহাযজ্ঞের আংশিক উদ্বোধন করবেন এভিয়েশন খাতের উন্নয়নের সোপান রচয়িতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ টার্মিনালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য- বিশ্বসেরা বিমানবন্দরের মতো সেবা পাবেন যাত্রীরা। প্রবেশের পরই স্বয়ংক্রিয় ৫ লেয়ারের স্ক্যানিং মেশিন, চেক ইন কাউন্টার, বডি ও হ্যান্ড ব্যাগ পরীক্ষায় আলাদা স্ক্যানিং ব্যবস্থায় থাকবে না কোন হয়রানি। দীর্ঘ পরিসরে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ক্লান্তিহীন করতে বিশেষ করে অসুস্থ ও বয়স্কদের জন্য থাকছে দুই ফ্লোরে ১৪টি মুভিং ওয়ার্কার। যার মাধ্যমে না হেঁটে দাঁড়িয়ে থেকেই ইমিগ্রেশন থেকে অভ্যন্তরীণ চলাচল সহজে হবে যাত্রী সাধারনের।

প্রথম থেকে তিনতলা পর্যন্ত ওঠানামায় থাকবে লিফট ও চলন্ত সিঁড়ি। বিমানে ওঠার আগ পর্যন্ত এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে সব কার্যক্রম স্বল্প সময়েই শেষ করা যাবে বলেই মনে করছেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
 
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি আগে আমাদের দেশে ছিল না, এটাই প্রথম। ফলে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন যাত্রীরা উপকৃত হবে, তেমনি বিমান পরিচালনা সংস্থাগুলোর কাছেও ঢাকা এক নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটর্ফম হবে এটি।  
 
নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ  বলছেন, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের কাছে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন তুলে ধরার প্রথম দৃশ্যপট হবে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। প্রবাসীরা যখন বিদেশে যান, এমন উন্নতমানের প্রযুক্তি দেখে, সেবা পায়। তখন আমাদের দেশের অবস্থা দেখে আফসোস করতেন আর আমাকে বলতেন স্যার, আমাদের দেশে এমন কবে হবে। যখন আমাদের দেশে এমন কিছু হয়, তখন ওরা ওই দেশের সহকর্মীদের গর্ব করে বলে আমাদের দেশেও এমন একটা আছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে  পূরণ হবে। বিশ্ব দরবারে সৃষ্টি হবে নতুন গল্পের। এটা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ মুখ উজ্জ্বল করবে বলেই মত এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞের।  এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে যাত্রীরা উন্নতমানের সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের পর পাল্টে যাবে বিমানবন্দরের চিত্র।
 
শাহজালালের তৃতীয় এই টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। নতুন করে তিন হাজার কোটি টাকা বাড়লে প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। খরচের বেশিরভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
 
হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে তা এক লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর। তৃতীয় টার্মিনালটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। ভবনটির আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্বে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। থার্ড টার্মিনালটির ভবন হবে তিনতলা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থার্ড টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজ করছে।

 

একুশে সংবাদ/স ক 

 

Link copied!