AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শান্তিতে নোবেলজয়ী কে এই নার্গিস মোহাম্মদী?


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫:৩৯ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
শান্তিতে নোবেলজয়ী কে এই নার্গিস মোহাম্মদী?

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি। তিনি ইরানের নেতৃস্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের একজন ও মোহাম্মদী নারী অধিকার এবং মৃত্যুদণ্ড বাতিলের জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এ বছর শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে। কে এই নার্গিস মোহাম্মদী। কি তার পরিচয়?

 

নার্গিস মোহাম্মদী একজন মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা-যোদ্ধা। তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগস্বীকার করতে হয়েছে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে, সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে। এখনও তিনি কারাগারে রয়েছেন।

 

তিনি ইরানের জাঞ্জানে  ১৯৭২ সালের ২১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। কোরভেহ, (কুর্দিস্তান), কারাজ ও ওশনাভিয়েহ শহরে তার শৈশব কাটে। তিনি ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি লাভ করেন। পরে একজন পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি জীবনে পদার্পণ করেন। শিক্ষাজীবন থেকেই সংবাদপত্রে নারীর অধিকার নিয়ে লেখালেখি করে আসছেন তিনি।

 

রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ‘তাশাক্কুল দানেশজুয়ি রোশানগারান’ (আলোকিত ছাত্র সংগঠন)-এর সভা থেকে দুবার গ্রেফতার হন। সংগঠনের পাশাপাশি তিনি পর্বত আরোহণ সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে পরবর্তী সময়ে আর পাহাড় আরোহণে যোগদান করতে পারেননি।

 

তিনি বেশ কিছু সংস্কারবাদী সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। দ্য রিফর্মস, দ্য স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড দ্য ট্যাকটিকস নামে রাজনৈতিক প্রবন্ধের বই প্রকাশ করেন। ২০০৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদির নেতৃত্বে ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারে যোগ দেন। পরে তিনি এ সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।

 

ইরান সরকারের সমালোচনা করায় ১৯৯৮ সালে প্রথম গ্রেফতার হন তিনি। তার এক বছর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে আবার ২০১০ সালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। কারাদণ্ড দেওয়ার পর ২০১১ সালে আবার তাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে’ কাজ করার দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ সালে সাজা কমিয়ে ৬ বছর করেন আদালত। এরপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের সহায়তায় তাকে মুক্তির আবেদন করা হলে ৩১ জুলাই ২০১২ নার্গিস মোহাম্মদী কারাগার থেকে মুক্তি পান।

 

২০১৫ সালের ৫ মে মাসে তাকে আবারও নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সালে নার্গিস তেহরানের এভিন কারাগারে চিকিৎসাসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন। ২০২০ সালে কারাগারে কোভিডে আক্রান্ত হন। ৮ অক্টোবর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

 

২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করায় তাকে আবার আটক করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ইরানের কারাগারে রয়েছেন।

 

১৯৯৯ সালে তিনি সহকর্মী সংস্কারপন্থি সাংবাদিক তাগি রহমানিকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার কিছুদিন পরই রহমানিকে আটক করা হয়। মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর ২০১২ সালে রহমানি পরিবার ফ্রান্সে চলে আসেন। এদিকে নার্গিস তার মানবাধিকারের কাজ চালিয়ে যান। নার্গিস ও রহমানির যমজ সন্তান রয়েছে–আলী ও কিয়ানা।

 

 

একুশে সংবাদ/য.ট.প্র/জাহা

Link copied!