স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর এবার পদ্মার বুক চিরে দক্ষিণাঞ্চলে ছুটবে ট্রেন। সড়কপথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের উন্নয়ন যাত্রার সাথেই এবার যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ। একাধিকবার ট্রায়ালে ধরা পড়েনি কোনো ত্রুটি। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০টি স্টেশনের মধ্যে তিনটির নির্মাণ শেষ। এ পথের সিগনাল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। এ রুটের ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৮৩ ভাগ আর মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ৯৭ শতাংশ। এ পথে রেল স্লিপার পাল্টাতে হবে ৫০ বছর পর।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন লাইফ একশ বছরের মত। তবে মেইন্টেন্যান্সটা জরুরি। প্রথম চার বছর মেইন্টেন্যান্স না লাগলেও পরে মেইন্টেন্যান্স প্রয়োজন হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এ রেলপথ। ভোগান্তি এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে যেতে পারবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী।
পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের সুবিধা নিয়ে বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পদ্মাসেতু দিয়ে রেলপথে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকায় জনসংখ্যা এবং যানজটও অনেকাংশেই কমে যাবে। কারণ এ পথে ভাঙ্গা দিয়ে কমলাপুর আসতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা। অনেকেই তাদের বাসস্থান ঢাকার বাইরে রেখে কাজ করতে আসতে পারবেন ঢাকায়।
রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে পুরো প্রকল্পের কাজ। টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সব জেলাকে আনা হচ্ছে রেল সংযোগের আওতায়।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, `আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ স্থাপনে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে পুনরায় গড়ে তুলছি।`
এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ একর জমি।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :