আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (অক্টোবর ০৯) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী মিসেস ডায়ানা জানসে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিকসম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সুইডেনের মন্ত্রী সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি উত্থাপন করলে শেখ হাসিনা তার সরকারের অঙ্গীকার পুনরোল্লেখ করেন। এ সময় সুইডেনের মন্ত্রী বাংলাদেশে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর এদেশের অর্থনীতিকে বদলে দিবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের একটি ভালো উন্নয়ন অংশীদার এবং এদেশে সুইডেনের ৫০টি কোম্পানি কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর জোর দেন সুইডিশ মন্ত্রী ডায়ানা জানসে।
তিনি বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তা বিশ্বব্যাপী মানব কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে খাদ্যশস্য পরিবহনে কোনো ধরনের অবরোধ আরোপ করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যমূল্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে কোন খাদ্য সংকট নেই। বরং বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সফল হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনকভাবে উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব করেন এবং বলেন, সেখানে তারা পারস্পরিক স্বার্থে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে পারেন।
বৈঠকে সুইডিশ মন্ত্রী বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে ডায়ানা জানসে বলেন, সুইডেন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়।
সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :