পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ছোটবোন শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সন্তান লীলা, কাইয়ূস ও তাইকাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী করে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকদিন পর প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে আসায় আত্মীয় ও স্বজনদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের একটি রিল ভিডিও থেকে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশ পোলাও স্বজনদের জন্য পরিবেশন করছেন। গরম ভাপ ওঠা ইলিশের টুকরো যাতে ভেঙে না যায় সে জন্য তিনি পরম মমতায় একটি একটি করে তুলে পাতে দিচ্ছিলেন।
আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে লিখা হয়েছে, ‘টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না। পরিবারের সবার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ব্যতিক্রমী সন্ধ্যা।’
ভিডিওটি দেখে স্পষ্টই বোঝা যায় স্বজনদের সঙ্গে কতটুকু সহজ-সরলভাবে মেশেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের দায়িত্বশীল পদে থেকেও সাধারণ মানুষের মতোই তিনি একাধারে মমতাময়ী মা, বোন বা দাদি-নানীর ভূমিকাই পালন করে যাচ্ছেন।
এদিকে সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী পায়ে হেঁটে টুঙ্গিপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছান।
সেখানে দেয়া বক্তব্যে তিনি টুঙ্গিপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সব এমপি নিজের এলাকায় যান৷ কিন্তু আমাকে দেখতে হয় পুরো ৩০০ আসন৷ তবে মজার বিষয় হলো, টুঙ্গিপাড়াবাসীই আমাকে দেখে রাখেন৷
এ সময় নিজ সাফল্যের পেছনে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু সাফল্য অর্জন করেছি তাতে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অনেক অবদান। এই মানুষগুলো আমাকে দেখে, আমাকে দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য আমি সারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।
কোনো ষড়যন্ত্রকে ভয় পান না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সবসময়ই থাকে, থাকবে। এটাকে ভয় পাই না। উপরে আল্লাহ, নিচে জনগণ ও দলের লোক। দেশের মানুষের ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে।
দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড-গুলি-বোমা সব পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ মানুষকে একটা চান্স দেন। যতক্ষণ সেই কাজ শেষ না হয় ততক্ষণ আল্লাহই রক্ষা করেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :