রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন কার্যক্রমের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এই লাইন তৈরির আগেই পারমাণবিক বিদ্যুতের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার আশ্বাস প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবরের।
করোনা মহামারি কিংবা নির্মাণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, কোনও কিছুতেও থামেনি দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি। প্রথম ইউনিটের কাজ এগিয়েছে ৯০ শতাংশের ওপর। এখন একে-একে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার আগের সব নির্দেশনা। অপেক্ষা কেবল সঞ্চালন লাইনের।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, যদি বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, প্রকল্প, বিদ্যুৎ বিভাগ, পিসিবি, বিটিসিএলসহ দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যত প্রতিষ্ঠান আছে, সবার সম্মতি থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষামূলক উৎপাদনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ ঘোষিত করব।
এই প্রকল্পের জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৮ সালে। বাজেট ধরা হয় ১০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। যার ৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকাই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। বাকিটা জোগাবে সরকার ও বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি- পিজিসিবি।
এখন পর্যন্ত সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ। যার মধ্যে ৪০০ কেভির ৪টি লাইনের অগ্রগতি প্রায় শেষ দিকে। আর ২৩০ কেভির একটি লাইনের নির্মাণ শেষ। আরেকটিও শেষের পথে। বাকি কেবল পদ্মা ও যমুনা নদীর রিভার ক্রসিং লাইনের কাজ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সব কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমি মনে করছি অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই বিদ্যুৎ ৮টার সময় যাওয়ার জন্য তৈরি করেছি। কারণ পুনরাবৃত্তির নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যাবে না।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :