নির্বাচন বানচাল করার জন্যই বিএনপি সহিংসতা করেছে বলে দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের সময় দেশে সহিংসতা চালিয়ে ভয়ের রাজনীতির প্রদর্শন করে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির সহিংসতা বিষয়ে জানাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি কর্মীদের সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় আক্ষেপ করেন।
২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের সময় দেশে সহিংসতা চালিয়ে ভয়ের রাজনীতির প্রদর্শন করে বিএনপি-জামায়াত। তবে এত বছর পরেও তারা পুরানো চরিত্র ছাড়েনি বলে আক্ষেপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর যা ঘটেছে তাতে আমরা মর্মাহত। যদিও অতীতে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার অভিজ্ঞতা থাকায়, আমরা অতোটা বিস্মিত হইনি।তবে দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম তারা বদলাবে, কিন্তু তারা পাল্টায়নি।
এসময় মোমেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে কূটনীতিকদের জানান। বিশেষ করে কোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৮ অক্টোবর বিকেল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গণনাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ দেখে বিদেশি কূটনীতিকরা স্তব্ধ হয়ে যান।
সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ এবং ছবির লিংক ইমেইল করে দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সেসব ঘটনার চিত্র প্রিন্ট করেও কূটনীতিকদের সামনে দেয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও চীনা রাষ্ট্রদূতসহ ৪৫টি কূটনৈতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জাতিসংঘসহ ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও ব্রিফিংয়ে ছিলেন।
কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :