শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এটা গুজব। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকার বেশিই নির্ধারিত হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করবেন।
সচিবালয়ে আজ সোমবার তৈরি পোশাক শিল্পে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ চলাকালে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।
তিনি বলেন, অবশ্যই বেশি হবে। পোশাক কারখানার মালিকপক্ষ যে প্রস্তাব দিয়ে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তার থেকে বেশি অবশ্যই নির্ধারণ হবে। মজুরি বোর্ড বসে আলাপ-আলোচনা করে নির্ধারণ করবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করতে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ৫ বছরের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর এর মেয়াদ শেষ হবে। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বসেছেন। মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়েই ন্যূনতম মজুরি কত হতে পারে তা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শ্রমিকদের মধ্যে কে বা কারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে মালিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। আর শ্রমিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা। শ্রমিকদের কারা বুঝিয়েছে তাদের মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ হয়ে গেছে। তারা এই বিভ্রান্তিতে ভুগছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মজুরি নির্ধারণের জন্য এখনো এক মাস বাকি আছে। ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের সভা আছে। শ্রমিকরা কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কাজে ফিরে ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা বিধান করবেন আমি এই আহ্বান জানাই। কারও ফাঁদে যেন তারা পা না দেন।
শাজাহান খান বলেন, গাজীপুরসহ কয়েক জায়গায় গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এর ব্যাপ্তি বাড়ছে। যারা বিভ্রান্তি ছাড়ালেন, কী উদ্দেশ্যে ছড়ালেন? মজুরি বোর্ড চারটি সভা করছে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। শ্রমিকদের খেপিয়ে তোলার জন্য বিএনপি`র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন দিন আগে একটি বিবৃতি দিলেন শ্রমিকদের ২১ হাজার টাকা মজুরি দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :