বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধে মঙ্গলবার কমলাপুরের চিত্র প্রতিদিনের মতোই। বরং সকাল থেকে সবগুলো ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। সড়ক পথের চেয়ে রেলের চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ৬টায় উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস যথা সময়ে ছেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অবরোধের প্রথম দিন রাজধানীর কমলাপুর থেকে প্রতিটি ট্রেন শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচলে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রফিকুল নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছি। অবরোধের মধ্যে ঢাকায় কাজে এসে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। সড়ক পথে একটু ভয় আছে। তাই রেলপথকে নিরাপদ মনে করছি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাপুরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি রেলওয়ে থানা পুলিশ (জিআরপি) দায়িত্ব পালন করছে। রেলের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে টিকিট কাউন্টার হয়ে ট্রেনে গিয়ে উঠা পর্যন্ত তিন জায়গায় সকাল থেকে আরএনবি এবং জিআরপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সাদা পোশাকেও রেলের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ট্রেনগুলো ছেড়ে যাওয়ার সময় রানিং পুলিশও দেয়া হচ্ছে। মোট কথা অবরোধের প্রভাব রেলে একটুও পড়েনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহ সময় সংবাদকে বলেন, রেল চলাচলের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রী ও রেলওয়ে স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :