ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক করলে আমরাও করবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেদিন আমেরিকায় ট্রাম-বাইডেন বৈঠক করবে সেদিন আমরা বৈঠক করবো।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তিনদিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে সন্ত্রাসী দল তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। কানাডার আদালত কিন্তু এ বিষয়টা কয়েকবার বলেছে। সন্ত্রাসী দল হিসেবে কানাডা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেও তারা সেখানে সুযোগ পায়নি।

তিনি বলেন, একটা কথা বলবো নির্বাচন হবে এবং যথা সময়ে হবে। কে চোখ রাঙালো আর কে চোখ বেকালো ওটা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না। কারণ অনেক সংগ্রাম করে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

গত ২৪ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের আমন্ত্রণে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে বেলজিয়াম সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে গত শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দেশে ফেরেন তিনি। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।

সফরকালে ২৫ অক্টোবর সকালে তিনি ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন।

দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণসহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাশাপাশি ইসি ও ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গেও দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি সই হয়েছে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে আরেকটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের’ উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেন। একই দিন বিকালে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডার লেইনের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে দেশের সামাজিক খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে পাঁচটি ভিন্ন অনুদান চুক্তি সই হয়।

২৬ অক্টোবর সকালে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে পৃথক দুটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। একই দিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন। শেখ হাসিনা পরে বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। সফর শেষে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা