AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিবির কার্যালয়ে সারওয়ার্দী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:৫৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩
ডিবির কার্যালয়ে সারওয়ার্দী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

 

ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে ২৮ অক্টোবর ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

এর আগে, আজ বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রুপ ধারণ করে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে করা পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

রোববার রাতে মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ২ নম্বর আসামি সারওয়ার্দী।

 

এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা এবং সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

 

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে মিয়ান আরেফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।

 

সেখানে মিয়ান আরেফি বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

 

এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, হাসান সারওয়ার্দী এবং ইশরাক হোসেন তাকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। আরেফি তাদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

 

এজাহারে বলা হয়, ওই সংবাদ সম্মেলনে একপর্যায়ে মিয়ান আরেফির বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে আসামিরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন।

 

এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) বিমানবন্দর থেকে আটক গ্রেপ্তার দেখানো হয় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরাফিকে। আমেরিকার পাসপোর্টধারী মিয়ান আরেফির প্রকৃত নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

 

একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা

Link copied!