তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। মজুরি কত নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে কত বাড়ানো হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী মিটিংয়ে এ ব্যাপারে প্রস্তাবনা আকারে জানানো হবে। এছাড়া সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে মালিকপক্ষ তা মেনে নেবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের অফিসে সভা শুরু হয়।
সভায় মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়, যারা রাস্তায় আন্দোলন করছেন তারা বেশিরভাগই শ্রমিক না। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আন্দোলনের কোনো মানে হয় না।
শ্রমিক হত্যার ব্যাপারে মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়, গুলি অনেকেই করতে পারে। কেউ বলতে পারবে না সরকার বা পুলিশ গুলি করেছে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেয়া হবে। এরপর যারা রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
সভায় শ্রমিকপক্ষ থেকে বলা হয়, ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার কথা আমরা বলেছি। এর মধ্যে কেউ এসে বলছে ২৩ হাজার, কেউ আবার বলছে ২৫ হাজার। এটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য করা হচ্ছে।
শ্রমিকপক্ষ থেকে কাজে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে ট্রেড ইউনিয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা রাস্তায় আছেন তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করা হয়।
ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলি জানান, মজুরি আরও বৃদ্ধির পক্ষে মালিকপক্ষ সম্মত হয়েছেন৷ শিগগিরই এ বিষয়ে আরেকটি মিটিং হবে।
সাত গ্রেডের বদলে পাঁচটা গ্রেড হবে। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষ সম্মত হয়েছে। চেষ্টা চলছে নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার।
সভায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :