কোনো স্কুলই ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারবে না। শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে লটারির মাধ্যমে। ২০২১ সালের প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুলের লটারি অনলাইনে সম্পন্ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের বিভাগীয় এবং জেলা শহরের স্কুলগুলো এই পদ্ধতির আওতায় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে ১ হাজার স্কুল কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতিতে আসেনি। এসব স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে নির্দেশনা রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত সব বেসরকারি স্কুলকে অনলাইন পদ্ধতিতে আনতে পারেনি অধিদপ্তর। ৪ হাজার ৩৯০ বেসরকারি স্কুলের মধ্যে এই পদ্ধতিতে এসেছে ৩ হাজার ১৮৮টি। মাউশি বলছে, সব স্কুলকে এই পদ্ধতিতে আনার চেষ্টা চলছে। যারা আসেনি তাদেরকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমিত সাপেক্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারির আয়োজন করতে হবে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের একজন নিজস্ব প্রতিনিধি থাকবে ও মাউশির একজন প্রতিনিধি থাকতে হবে।
অনলাইনে ভর্তি আবেদন চলছে। শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে লটারি প্রক্রিয়া শেষ হবে। এবার প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
অধ্যাপক বেলাল হোসেন আরও বলেন, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সমস্যা নেই। ৬ বছরের বেশি হলেই আবেদন করা যাবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে আসন আছে ১০ লাখের মত।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, অনলাইনে কেন্দ্রীয় ভর্তি প্রক্রিয়াতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে গেছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়েছে ভর্তি বাণিজ্যও। তাই সব স্কুলকে বাধ্যতামূলকভাবে এই পদ্ধতিতে আনা হোক।
সূত্র- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :