প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে ভাল রাখাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। তাই জাতি আওয়ামী লীগের কাছে যা চায় তা পাবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) মেট্রোরেলে চড়ে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ভ্রমণকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি গণমাধ্যমকর্মী ও সফরসঙ্গীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
মেট্রোরেল নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই মেট্রোরেলের কাজে নিয়োজিত ছিল আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। তাদের পরিশ্রমের জন্য ঢাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস করে তাদেরকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পুলিশ পিটিয়ে মারে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেন দেশবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এটাই আমার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়, এটা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেকে এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য উৎসর্গ করেছি। মানুষ যখন ভালো থাকেন সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।
এর আগে সবুজ পতাকা উড়িয়ে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। তবে উদ্বোধন করা হলেও সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে রোববার (৫ নভেম্বর)। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এই অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং ফার্মগেট।
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নগরবাসী ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন মাত্র ৩১ মিনিটে। এতে বাঁচবে ওই পথ ব্যবহারকারী মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুত।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এসময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।
ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ২১ দমশিক ২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :