প্রতিদিনই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়া চলে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পাতালপথ, উড়াল সেতুর পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুতের ঘাটতি নাই, স্বাস্থ্যখাতে জেলায় জেলায় হাসপাতালের বেড দ্বিগুণের বেশি করা, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের অতিরিক্ত ডায়ালাইসিস বেড করা, আট বিভাগে আটটি ১৫০০ শয্যার ক্যান্সার কিডনি হাসপাতাল করা, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক করে সেখানে ৩০ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া থেকে শুরু করে করোনা মহামারী মোকাবিলা করে বিশ্বে ৫ম স্থান অর্জন করাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ এগুলোর কিছুই বিএনপি চোখে দেখে না। বিএনপি যে জ্বালাও পোড়াও করে, মানুষের জানমালের ক্ষতি করে ক্ষমতায় যেতে চায় দেশের মানুষ এখন তা বোঝে। মানুষ বোঝে বিএনপির দু:শাসনের সময় বিএনপি কীভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই, খাদ্যে মজুদ রাখতে পারে নাই, চিকিৎসা দিতে পারে নাই এবং দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা চোখ থাকতে দেখতে পায় না। তবে, তারা (বিএনপি জোট) অন্ধ হতে পারে কিন্তু দেশের জনগন অন্ধ নয়। জনগণ ভালোই বোঝে শেখ হাসিনার হাতে দেশ কত নিরাপদ আর বিএনপি ক্ষমতা নিলে দেশ কতটা অনিরাপদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকারকে ইস্পাতের মত শক্ত উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আরো বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ইস্পাতের ন্যায় শক্ত ও মজবুত। রাস্তা অবরোধ করে বা জ্বালাও-পোড়াও এর মত অপরাজনীতি করে এই ইস্পাত ন্যায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা অন্তত বিএনপির নেই। আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ডক্টরস কোয়ার্টার্স সংলগ্ন নব নির্মিত স্টাফ কোয়ার্টার শুভ উদবোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশের সরকারি হাসপাতালে মানুষের প্রতিদিনের চিকিৎসা নিতে আসার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “হিসাব অনুযায়ী দেশের কেবল সরকারি হাসপাতালগুলোতেই মাসে গড়ে ৩৬ কোটি মানুষ সেবা নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকলে, চিকিৎসা না পেলে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসত না। সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণের বেশি করার পরও মানুষ জায়গা না পেয়ে ফ্লোরেও চিকিৎসা নিচ্ছে।
গত পাঁচ বছরে ১৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এর আগের বিগত ৪৫ বছরে চিকিৎসক ছিল মাত্র ১৫ হাজার। নার্স নেয়া হয়েছে ২০ হাজার, অন্যান্য পদেও হাজার হাজার লোক নেয়া হয়েছে। নতুন করে অনেক ইন্সটিটিউট, হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। এগুলো সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। এগুলো করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করতে। অথচ অনেক নেতিবাচক সমালোচনা করা হয়। কিন্তু দেশের মানুষের সংখ্যা যে অনেক বেশি, এত বেশি সংখ্যক মানুষের চিকিৎসা দিতে কিছুটা এদিক- সেদিক হলেই সেটা নিয়ে সমালোচনা করা হয়। অথচ, স্বাস্থ্যের যে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে সেগুলো নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না।”
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতারুজ্জামান, স্বাচিপ এর মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) রাশিদা আকতারসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :