দেশকে অস্থিতিশীল করতে শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

দেশকে অস্থিতিশীল করতে পোশাক শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পোশাক শ্রমিকদের যে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা নিয়েই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পোশাক শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত তো গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এদের প্রতি আমার ঘৃণা ছাড়া আর কিছু না। আমার কাছে এমন খবর আছে যে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামাবে এবং তারাই তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে ক্ষতি করবে। দরকার হলে লাশ ফেলবে এবং দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল করবে। ।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ আজকে শান্তি ও স্বস্তিতে আছে। কিন্তু এটি অনেকের সহ্য হচ্ছে না। ফলে আবারও আগুনে পোড়ানোর খেলা শুরু করেছে। যারা আগুন দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। কি কারণে, আমরা তো বিএনপির উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করিনি। আমরা মানুষ মেরে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি।

বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা হরতাল ও অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস ও লুটপাট করছে। শুধু তাই নয়, পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করবে। পুলিশকে ফেলে দিয়ে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পুলিশকে পিটানো, হাসপাতাল পোড়ানো। যারা এভাবে মানুষের উপর হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা মানুষকে বিনা মূল্যে ঘর দিচ্ছি। মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।

সরকারে থেকে এখনও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেনি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও ৭০ ভাগ মানুষ এ দলের ওপর আস্থা রাখে। একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন, বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না। 

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের শুরু হয় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায়। ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলের নির্বাচনী ইশতেহার এবং তফসিল পরবর্তী দলীয় কর্মসূচি বৈঠকে আলোচিত হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং উপকমিটিগুলোর বিষয়গুলোও আলোচিত হবে।

কার্যনির্বাহী সংসদের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ১২ আগস্ট। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এটাই কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ বৈঠক।

একুশে সংবাদ/ম.ন.প্র/জাহা