AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে বিভিন্ন ধরনের  পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে


ফরিদপুরে বিভিন্ন ধরনের  পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে

ফরিদপুর জেলার শীত মৌসুমের শুরুতেই পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পরেছে।  ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। ইতোমধ্যে শরৎ প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে সেই সাথে শেষ রাতে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীতের আগমন যেন এক ভিন্ন মাত্রা।

এ কুয়াশার মধ্য দিয়ে শীত শুরু হয়েছে। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম।  সন্ধ্যায় নানা বয়সী মানুষ পিঠা খেতে আসছেন এসব পিঠার দোকানে। ঘরে তৈরি পিঠার পাশাপাশি অনেকে রসনা বিলাসের জন্য রাস্তার মোড়ে-মোড়ে জমে উঠে বাহারি পিঠার দোকানে ভিড় করছেন অনেকে।

আগে শীত এলেই বাড়ি বাড়ি গৃহবধূরা পিঠা বানাতে বসতেন। উনুনের পাশে বসে বাড়ির সদস্য পিঠার মজা নিতেন। এখন দিন পাল্টেছে। এখন আর বাড়িতে কষ্ট করে পিঠা তৈরি করতে চায় না। এখন স্বল্প আয়ের নারী-পুরুষ মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। শীত মৌসুমে হাত বাড়ালে যখন দোকান অথবা রাস্তার মোড়ে পিঠা কিনতে পাওয়া যায়।

সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া বিকি-কিনি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। আর অধিকাংশ দোকানগুলো পরিচালনা করছেন পুরুষ ও নারীরা। ফলে তাদের বাড়তি আয়েরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, শীতের সময়ে পিঠার দোকানে ক্রেতার ভিড়। ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠার সঙ্গে আড্ডা জমে ওঠে ক্রেতাদের। স্থায়ী বা মৌসুমী এ পিঠার দোকানগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয় কিছু  পুরুষ ও নারীদের দ্বারা। সংসারে পুরুষের পাশাপাশি উপার্জনে বাড়তি সহযোগিতার হাত বাড়ানো জন্য দিন দিন বেড়েছে নারীদের এই পিঠার দোকান। এতে করে বাড়তি উপার্জনও হচ্ছে তাদের। সংসারে আসছে স্বচ্ছলতাও।

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় পিঠা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বছর শীতের শুরুতেই পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে । বিক্রিও ভালো। নারিকেল, গুড় ও চালের গুঁড়ো দিয়ে ভাপা পিঠা বানালেও চিতই পিঠার সঙ্গে এসব দোকানিরা দিচ্ছেন সরিষার ভর্তা, মরিচের ভর্তা ও ধনেপাতা ভর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিঠা বিক্রেতা  জানান, প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন; যা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ তার সংসার চলছে। তবে শীত শেষ হলেই তিনি আবারও অন্য পেশায় চলে যাবেন।

বোয়ালমারী চৌরাস্তায় পিঠা কিনতে আসা বিল্লাহ সেখ  বলেন, শীতের সময় গরম গরম চিতই পিঠার সঙ্গে বিভিন্ন মসলা মুখে পানি এনে দেয়। বাড়িতে  পিঠা বানানোর সময় না থাকায় তাই দোকান থেকে বাসায় পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

একুশে সংবাদ/এস কে  


 

Shwapno
Link copied!