AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৫০ বছর পর রুশ যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশে


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯:৩২ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০২৩

৫০ বছর পর রুশ যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশে

গত ৫০ বছরে প্রথম কোনো রুশ যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নৌবন্দরে বন্দরে এসেছে। রোববার এসব তথ্য জানা গিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মাইন অপসারণ অভিযান পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল রুশ নৌবহর।

এবার রুশ নৌবহরের আগমনের লক্ষ্য একেবারেই ভিন্ন। চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান বলেছেন, রুশ নাবিকরা আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছেন। তবে এবার তারা কোনো অপারেশেনে নয়, প্রীতি সফরে এসেছেন। এটি প্রমাণ করে যে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে খুব উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। প্যাসিফিক ফ্লিট নামে নতুন এই নৌবহরে অ্যাডমিরাল ট্রাইবাটস ও অ্যাডমিরাল প্যান্টেলেভ নামে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ও পেচেঙ্গা নামে একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি বলেছেন, ৫০ বছর আগে চট্টগ্রাম নৌবন্দর থেকে মাইন অপসারণের জন্য একটি রুশ নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছিল। সে সময় রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল, যে কারণে অনেক জাহাজ ডুবেও গিয়েছিল।

রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, সেই সময় এই মাইন সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক দেশের কাছেই আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দেশ সেই আবেদনে সাড়া দিলেও বিনিময়ে অনেক অর্থ দাবি করেছিল। স্বদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে সে সময় এত টাকা ছিল না। তিনি আরও বলেন, তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) একমাত্র দেশ হিসেবে মানবিক কারণে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিল।

এরপর চট্টগ্রাম বন্দরে ‘মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশন’ নামে একটি অভিযান চালানো হয়। অপারেশনটি ১৯৭২ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮ শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করেন। সেই অভিযানে এক রুশ ডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করেন। তারপর থেকেই মূলত চট্টগ্রাম বন্দরে সারাবিশ্ব থেকে জাহাজ চলাচলের পথ সুগম হয়।

 

একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা

Shwapno
Link copied!