চলতি মাসে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ছিল আবহাওয়াবিদদের। এমন আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এখন পর্যন্ত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আছে। এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’। এটি মালদ্বীপের দেওয়া নাম।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :