AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

বৃষ্টি-ঝোড়ো বাতাসে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:২৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
বৃষ্টি-ঝোড়ো বাতাসে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

 

৥টেকনাফে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
৥মিরসরাইয়ে শিশুসহ নিহত ২, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ
৥সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক
৥বঙ্গোপসাগরে ২০ ট্রলারসহ ৩০০ জেলে নিখোঁজ


ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অব্যাহত বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বসতঘরের মাটির দেয়াল চাপায় এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মরিচ্যাঘোনার পানিরছড়া নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। নিহতরা হলেন- ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পানিরছড়ার ফকির মোহাম্মদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া বেগম (১১)।

এছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাছপালা উপরে যান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং এক শিশুসহ দুই জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে থামলো ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। গতকাল সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া (৪) নামের এক শিশু এবং টাঙ্গাইলে আবদুর রজ্জাক নামে এক ব্যবসায়ী প্রাণ হারিয়েছে। অপর দিকে নোয়াখালীর উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গিয়ে বহু  জায়গায় যানবাহন চলাচলে বিঘিœত হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।  

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পটুয়াখালী জেলা ও তৎসংশ্লিষ্ট এলাকা দিয়ে অতিক্রম করে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া আর মুষলধারে বৃষ্টিতে উপকূলীয় এলাকার অনেক জায়গায় আমন ও ইরি ধানের ক্ষতি হয়েছে।

পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।

কুয়াকাটা এলাকার কৃষক আল আমিন ফকির বলেন, আমাদের মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে। এ সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টি ও বাতাসে ধান পানিতে হেলে পড়ছে। আর এতে করে আমাদের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ, ইতোমধ্যে অতি বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে।

কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃৃষক মোস্তফা বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম। কিছু ধানে ফুল এসেছে, কিছু ধানে ফল এসেছে। এ সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে। আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে টাকা ব্যয় করেছি, তা আসে কিনা সন্দেহ।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। তার মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ ক্ষেতের ধান পরিপক্ব হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের ফলে আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ধান কাটার মতো হয়েছে, তাদের ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মহিপুর মৎস্য বন্দরের মাঝিসহ দুটি ট্রলার এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলে কামরুল হাসান। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ১৪টি গ্রাম।

এছাড়া, নেয়াখালী জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমির পাশের সড়কে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জমির পাকা ধান হেলে পড়েছে।

হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ সবুজ বলেন, প্রায় ২০ শতাংশ আমন ধান হেলে পড়েছে। মাঠে থাকা শীতকালীন সবজিরও ক্ষতি হতে পারে। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে। নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রচুর বাতাস হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছে না। বাতাস কমলে আমরা সেসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, যেসব স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর তালিকা সংগ্রহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পেলে খুব শিগগিরই জানানো হবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৪ লাখ টাকা এবং ৪৭৯ টন চাল বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। এছাড়াও ১০২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজ নিজ স্টেশনে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল পেরিয়ে পুরোপুরি স্থলভাবে উঠে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’; বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পরিণত হয়েছে স্থল নি¤œচাপে পরিণত হয়। ঝড়ের বিপদ কমে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার বেলা ১টার দিকে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। পরের দুই ঘণ্টায় বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে বেলা ৩টার দিকে তা পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বিকেল ৪টার দিকে বলেন, ঝড়টি দুর্বল হয়ে গভীর নি¤œচাপ আকারে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিবায়ুর চক্র স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে হতে এক পর্যায়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা এবং বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। 
ঝড় কেটে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলেছিল, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নি¤œালাঞ্চ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক : জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ডিসি জানান, উপকূলের সব সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে উপকূলে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমুহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।

জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, বুধবার তিনটি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তারমধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। আগের দিন আরও ১৫০-২০০ জন পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে।

জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানান, সতর্ক সংকেত জারির পর সাগরে অবস্থান করা সিংহভাগ ফিশিং ট্রলার তীরে ফিরে এসেছে। বাকিগুলোও আসার পথে রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে ২০ ট্রলারসহ ৩০০ জেলে নিখোঁজ : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে ৩০০ জেলেসহ মাছ ধরার ২০টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এতে জেলপল্লিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি জানায়, বরগুনার প্রায় দেড় হাজার ট্রলার গভীর সাগরে মাছ শিকার করে। বর্তমানে সকল ট্রলার কিনারায় ফিরলেও ২০টি  ট্রলারের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৩০০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের ঘটনায় জেলেপল্লিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আমরা তাদের সন্ধানে চেষ্টা চালাচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক মোহা.  রফিকুল  ইসলাম  বলেন, ‘২০টি  ট্রলারসহ জেলে নিখোঁজের বিষয়টি জেনেছি। তাদের সন্ধানের কোস্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য সমিতিকে নিখোঁজ জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!