জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন উদযাপিত হচ্ছে। শুভ কঠিন চীবর দান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পরিশুদ্ধি ও সমৃদ্ধি আনে। এর মাধ্যমে তাদের চেতনার উন্মেষ, মহামিলন, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে মানবতার উন্মেষ ঘটায় এই মহাসম্মেলন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত ‘শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘দীপঙ্কর’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
তিনি বলেন, শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে গ্রামেও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সাড়া পড়ে। প্রতিটি অনুষ্ঠান বৌদ্ধদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন জরুরি। যুদ্ধ-বিগ্রহ, হানাহানি পরিহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই জীবনাদর্শ সকলকে বিশ্বাসী করে তোলে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন যে চেতনা নিয়ে কাজ করেছেন তার অন্যতম অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ৷ এই সম্প্রীতি অব্যাহত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই সোনার বাংলায় যেকোন ধর্মীয় উৎসব বাঙালিকে মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শাসন ভাষ্কর শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, বিজেন্দ্র বিকাশ বড়ুয়া, নেত্রসেন বড়ুয়া, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, অশোক বড়ুয়া, বাবু প্রবীর কুমার সাহা প্রমুখ স্বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/না.স
আপনার মতামত লিখুন :