সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ঢুকলেই চোখে পড়ে নানা ধরনের লোভনীয় বিজ্ঞাপন। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়াই দেওয়া হয় ঋণের অফার। ঋণ নিতে গ্রাহকদের মানতে হবে হয় নির্ধারিত কিছু নিয়ম। তবে এই সুযোগেই গ্রাহকের ফোনের যাবতীয় এক্সেস নিয়ে নিয়ে নেয় প্রতারকরা। এমন এক চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলছেন, গত দুই বছর ধরে সক্রিয় এই চক্রটি শেষ ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এই সব অসাধু চক্রের হাত থেকে বাঁচতে অনলাইনে এইসব বিজ্ঞাপন এড়িয়ে চলা এবং সতর্ক থাকার আহবান ডিবি প্রধান
তিনি বলেন, গ্রাহককে দেয়া প্রতারকদের নির্ধারিত অ্যাপস ডাউনলোড এবং অ্যাপসের নিয়ম অনুযায়ী শর্ত পূরনের পর ঋণ হিসেবে কিছু টাকা পাঠিয়ে দেয়। বিভিন্ন ফিশিং লিংকের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণকারীর ফোনের যাবতীয় এক্সেস নিয়ে নিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এরপর পাকিস্তান থেকে কল দিয়ে করা হয় ব্ল্যাকমেইল। চাওয়া হয় দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকা। সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক এই প্রতারক চক্রটির ফাঁদে পড়ে প্রায় ৬০ জন ভারতীয় নাগরিক আত্মহত্যা করেছে।
বাংলাদেশেও সক্রিয় এই চক্রটি। যার ভুক্তভোগী প্রায় ১৫০০। এক চীনা নাগরিকসহ চক্রটির ১৫ সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলছেন, গত দুই বছর ধরে সক্রিয় এই চক্রটি শেষ ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :