যথাসময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই বিষয়টা আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে বুঝানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধনীর আগারগাঁওয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে, ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা তারা বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে যে ইসি হস্তক্ষেপ করতে পারে না, এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন থাকতে পারে, তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘তারা (ইইউ) আগেও এসেছেন, আবার এলেন। এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেটা তাদেরকে জানিয়েছি। আমরা তাদেরকে পরিষ্কার জানিয়েছি, আমাদের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং পিসফুল যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। তারা জনগণ ও প্রশাসনকে এই বিষয়গুলো অবহিত করেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা বুঝতে পেরেছি, তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
অন্যদিকে ইইউর পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, সংস্থাটির পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
একুশে সংবাদ/ন.দ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :