AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৪০ এএম, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?

ঢাকাসহ এর আশপাশের অঞ্চলে শুক্রবার ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছে হওয়ায় এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে অনেকে সরব। প্রশ্ন হলো ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?

ঢাকায় শনিবার শুক্রবার ভোরে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তার উৎপত্তিস্থল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বলে দাবি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর আগে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকার দোহারে বলে নিশ্চিত করেছিল মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রূপগঞ্জই হোক বা দোহার, একটা বিষয় নিশ্চিত যে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি ছিল রাজধানী ঢাকার খুব কাছে। একইসঙ্গে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থলের গভীরতাও বেশ কম। ফলে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। দেশের সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিচে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফল্ট লাইন। সাধারণত ঢাকায় অনুভূত অধিকাংশ ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল হিসেবে সিলেট বা চট্টগ্রামের নাম দেখতেই অভ্যস্থ সবাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার নামও আসে। ফলে এবারের ভূমিকম্পটি মূলত দুটি কারণে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

প্রথম কারণ অবশ্যই গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়া অঞ্চলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আর অবকাঠামোসহ সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা না বললেও চলে। আর দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই রাজধানীর এত কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া।

যদিও ঢাকায় অনুভূত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার আশপাশে এর আগেও পাওয়া গেছে। ২০০৮ থেকে ২০১২-১৩ পর্যন্ত ঢাকার কাছাকাছি নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা অঞ্চলে গ্রীষ্মের সময় অনেকগুলো ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়েছে।

ভূমিকম্প শনাক্তকারী সংস্থা আর্থকোয়েকট্র্যাকের তথ্যমতে, ২০১২ সালের ১৮ মার্চ দোহার থেকে ১৪ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল। ঢাকার কাছে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলেও গত ২০ বছরে একাধিক ছোট ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টাঙ্গাইলের ১২ কিলোমিটার পূর্বে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এ ছাড়া ২০০৮ সালে টাঙ্গাইলের কাছে নাগরপুরে এবং ২০১৯ সালে মির্জাপুরে ৪ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প হয়। আর গত ১৫ বছরে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে অন্তত চারবার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

এসব ভূমিকম্পে তেমন কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ঘাটতি রয়েছে বলে সতর্ক করে আসছেন। আর এখানেই রয়েছে জনমনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের মূল সূত্রটি।

গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার পর দেশের ভূমিকম্প মোকাবিলা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। সে সময় তাঁরা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে ৮ মাত্রা বা তার চেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেরকম ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের অন্তত ৬ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণহানি হবে অন্তত ৩ লাখ মানুষের।


একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!