আচরণবিধি ভঙ্গ করায় প্রার্থীদের একের পর এক শোকজ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না, জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে স্থাপিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান ওমর। সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার পথে ছবি তুলতে বাধা দেন সাংবাদিকদের। এসময় তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় থাবা মারেন।
এর পরেই বের হন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আচরণবিধি ভঙ্গ করায় প্রার্থীদের একের পর এক শোকজ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না।
পরে তিনি অন্য প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যে প্রার্থীরা প্রত্যাখ্যাত হন, যাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়—দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। আপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন, যে কেউ। আপিল শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনব। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেব।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর নির্বাচন কমিশনে কেন এসেছিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ওটা আমার বিষয় না।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না—এমন বিষয় ফের সামনে আনলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :