ডিসেম্বরেও অনেক ক্ষেত্রে পাখা চালিয়ে কাজকর্ম করতে হচ্ছে। পাশ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও শীত অনুপস্থিত। তবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ভারতের তামিলনাডু অতিক্রমের জেরে প্রবল বর্ষণ হয়ে গেল। তাতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে ব্যস্ততম শহর চেন্নাই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হযেছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। আকাশের মুখ ভার।
এ অবস্থায় ঢাকার আবহাওয়া অফিস জানালো আসছে শুক্রবারের পর থেকে দেশে শীতের প্রভাব পড়া শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব কেটে গেলেই কমে আসবে রাত-দিনের তাপমাত্রা।
পূর্বাভাস বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝডের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির মুখে পড়তে পারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের ১০ জেলা। এসময় উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এ পূর্বাভাস বহাল থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত।
মৌসুমের শেষ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের হানায় বিপর্যস্ত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ- তামিলনাড়ু উপকূলে। আর এ ঝড়েরই প্রভাব পড়েছে দেশের আবহাওয়ায়। গত দুদিন ধরেই গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে নানা জেলায়। আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারে এ বৃষ্টি। সঙ্গে বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আকাশ পরিস্কার থাকলে কিন্তু রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। কিন্তু আকাশে যখন মেঘ থাকে তখন রাতের তাপমাত্রা ওই বদ্ধ ঘরের মতো ট্যাপিং হয়ে যায়। তখন তাপমাত্রা কিন্তু কমে না বরং বাড়ে।’
তবে শুক্রবারের পর দিন ও রাতের তামপাত্রা কমবে। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অনুভূত হবে শীত। আকাশ পরিস্কার হয়ে গেলেই কিন্তু শীতের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। শুক্রবারের পর থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়বে। আর বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে শীতের তীব্রতা বেশি বাড়বে।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে হালকা থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :