শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকার অবশ্যই সফল হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবান ঢাকায় শ্রম ভবনের সভা কক্ষে ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের উপায় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী বেসরকারি শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরী নির্ধারণ এবং প্রতি ০৫ বছর অন্তর যে কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন বা বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের নিম্নতম মজুরি হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ ও গ্রেডের সংখ্যা সাত থেকে পাঁচে কমিয়ে এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সকল প্রকার শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প’ (২০১৮-২০২৩ সাল) চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৪টি অঞ্চলে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে ফিরিয়ে আনা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য শিশুশ্রম নিরসন ও পূনর্বাসন বিষয়ক ‘শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পটি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুতকৃত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্ণিত প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘Implementation of a pilot of an Employment Injury scheme in BangladeshÕ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি- এর ৮নং গোলের ৮ দশমিক ৫, ৮ দশমিক ৭, ৮ দশমিক ৮ (শিশুশ্রম নিরসন, সমমজুরি, দুর্ঘটনা হ্রাস) টার্গেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে দীর্ঘ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আখতার হোসেন মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :