সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় বিজয়ের জ্বলন্ত সাক্ষী বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) মিত্রবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিত সিং অরোরার সম্মুখে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর আত্মসমর্পণ দলিলের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যে টেবিল ব্যবহৃত হয়েছে, তা তৎক্ষণাৎ ঢাকা ক্লাব হতে সরবরাহ করা হয়েছিল। যা বর্তমানে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্মারকের অন্যতম নিদর্শন হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়া জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ঐতিহাসিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও নিদর্শনগুলো নিয়মিত সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত `বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়` শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরুল চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কিপার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মনিরুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের উপ-কিপার দিবাকর সিকদার।
উল্লেখ্য, পক্ষকাল ব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনী আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীতে ১৭১টি নিদর্শন, শতাধিক আলোকচিত্র ও লন্ডন প্রবাসী চিত্রশিল্পী এস এম আসাদের ২৮টি চিত্রকর্ম ঠাঁই পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে একাডেমি আয়োজিত `বিজয় উৎসব ২০২৩` এর অংশ হিসাবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :