আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেবেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ, আজ থেকেই প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ শুরু হওয়া এ প্রচারণা চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোননয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হয়েছে রোববার (১৭ ডিসেম্বর)। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটকে আসন ছাড় দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ৩২ আসন থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে।
রোববার শেষ দিনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন ৩৪৭ জন। প্রত্যাহারের পর বৈধ প্রার্থী ১ হাজার ৮৯৬ জন। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ২৭টি দল। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে অংশ নিতে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৭১৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বৈধ ঘোষণা করা হয় ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র এবং স্থগিত রাখা হয় পাঁচজনের প্রার্থিতা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন ৫৬০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ২৮৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর গণতন্ত্রী পার্টির বাতিল হওয়া ১২ জন ও প্রত্যাহার করা ৩৪৭ জন বাদে বর্তমানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিলেও যারা প্রার্থিতা ফিরে পাননি অথবা যাদের প্রার্থিতা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে তারা হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। হাইকোর্টে যদি কেউ প্রার্থিতা ফিরে পান, তাহলে তিনি রায়ের কপি জমা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :