বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাঙালি ঐতিহ্য ও ত্রিমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন প্রকাশে স্থাপত্যশিল্প কার্যকরী অবদান রাখে। শিকড়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে স্থাপত্যে প্রথিত থাকে অতীত ও ভবিষ্যতের চেতনা। নান্দনিকতা ও আধুনিকতার নতুন মাত্রা বিকাশেও স্থাপত্য কার্যকরী অবদান রাখে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রথম আলো ভবনে ‘স্থপতি মাজহারুল ইসলামের জন্মশতবার্ষিকী: বাংলাদেশের উন্নয়ন চেতানা শিল্প ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে শিল্প-সংস্কৃতি-স্থাপত্য আনতে হবে। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সাথে স্থাপত্য শিল্প যেমন জড়িত তেমন স্মার্ট বাংলাদেশেও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী বিশেষ অবদান রাখবে। স্থপতি মাজহারুল ইসলামের স্থাপত্য কর্ম এখনও আধুনিক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য স্থানীয় পরিবেশের সাথে সমন্বয় করেই নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৫৩ সালে নির্মাণ করা চারুকলা ইনস্টিটিউট এখনও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ভবন। প্রাকৃতিক আলোর সুষম ব্যবহার করে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নির্মিত ভবনগুলো পরিবেশবান্ধব হয়েছে। কিন্তু এখনকার ভবনগুলো কাঁচ আর ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। দেখার কেউ নাই। কোনো না কোনো স্থাপতিরই এগুলো ডিজাইন (নক্সা) করা। স্থানীয় মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকতে হবে স্থাপত্যে-যা সময়োত্তীর্ণভাবে আধুনিক হবে।
প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি আদনান মোরশেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ‘মাজহারুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক সামসুল ওয়ারেস, নাট্যজন ও অভিনয় শিল্পী সারা যাকের, স্থপতি ও সংগীত শিল্পী লুভা নাহিদ চৌধুরী, ‘মাজহারুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ইসতিয়াক জহির এবং সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক বক্তব্য রাখেন।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :