দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়েছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিন বগি। আগুনের কারণ খোঁজতে গিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র ট্রেনে পোড়া জিনিসের নমুনায় ফসফরাসের উপস্থিতি পাওয়া পেয়েছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট মনে করছেন, আগুন দেওয়ার সময় রাসায়নিক ব্যবহার করা হতে পারে। এর সঙ্গে পেট্রোল দিয়েও আগুন লাগাতে পারে।
পুলিশের একটি সূত্র তথ্য মতে, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছে এমন বেশ কয়েকজনের ফুটেজ তারা পেয়েছেন। নাশকতাকারীরা বিমানবন্দরের আগের স্টেশনগুলোর মধ্যে কোনো একটি থেকে উঠছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে একটি তদন্ত সংস্থা তিন ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে। যারা বিমানবন্দর থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেছিল এবং তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল-অবরোধ ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ট্রেনে আগুন দেওয়া এবং রেললাইন কেটে ফেলার ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডেরর ঘটনায় মা-শিশুসহ ৪জনের মৃত্যু হয়।
ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনাটি ছায়াতদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সংস্থার একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগুনের ঘটনায় আহত কয়েকজনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন আগুন লাগার আগে ট্রেনের দরজা খুলে দুজন যুবক আস্তে আস্তে কথা বলছিলেন।
গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি বিভিন্ন স্টেশন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এক যুবকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাকে খোঁজা হচ্ছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, মামলায় ট্রেনে নাশকতা চালিয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে কাজ করছে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :