মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার জেরেমি বুয়ার।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেও দেশটি দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এবং এটি দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করেছে।
এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য শুভকামনা জানান অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার। করোনা মহামারী সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে জনগণের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আরও সহযোগিতার জন্য জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন খাতে জোর দেন জেরেমি বুয়ার। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ভালো করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন জেরেমি বুয়ার। তিনি জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে অস্ট্রেলিয়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সুবিধায় সহযোগিতা করবে। এসময় অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :