পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের পরিবেশ ও বনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার পাশাপাশি দেশের পরিবেশ ও বনের উন্নয়নে এডিবির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা কামনা করছি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পরিবেশ,বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডিমন গিন্টিং সাক্ষাৎ করলে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা থেকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন পূর্বক কাজ করবে। এছাড়া বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের সার্বিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিদের সসহযোগিতা কামনা করছি।
এডিবির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডিমন গিন্টিং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশ্বের অন্যান্য দেশ অনুসরণ করে। তিনি বলেন, এডিবি সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশে এডিবির সসহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
এর পূর্বে পরিবেশমন্ত্রী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্তে পরামর্শ সভা করেন। বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও ব্রাক, সিপিডি, এসডো, বেলা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, ওয়েস্ট কনসার্ন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরে মন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলামের সাথে ঢাকা শহরের জলাশয়গুলি সংরক্ষণ সহ সার্বিক পরিবেশের মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, যুগ্ম-সচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থা সমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :