আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক (ওই ট্রেনের এটেনডেন্ট) আক্কাস গাজীকে ঘটনার পরেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আক্কাসের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
এছাড়া চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে চার সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ এ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। একজন ধর্ষকের জন্য আমাদের কোনো ছাড় নেই। এটা রেলওয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এখন থেকে কঠোর না হলে যাত্রীদের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে বিধায় সে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তার জন্য আমরা কোন সহানুভূতিশীল আচরণ এক্ষেত্রে দেখাবো না।
এদিকে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারের সাথে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার বড় ভাই তাকে নিতে আসে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে জিআরপি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী। মেয়েটিকে আদালতে নেয়ার পর বিচারকের আদেশে তার জবানবন্দী রেকর্ডের পর অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে ভুল ট্রেনে উঠে পড়ায় এক কিশোরীকে চলন্ত ট্রেনে ফাঁকা কেবিনে নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে ধর্ষণ করে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের এটেনডেন্ট আক্কাস গাজী। এ ঘটনায় আক্কাসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় রেল পুলিশ।
একুশে সংবাদ/জ.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :