সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে ১০ বস্তা(৫শত)কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনি সহ ২ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ।
আটককৃত চোরাকারবারিরা মধ্যনগর উপজেলার পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার বারোমারা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে রইচ মিয়া(৩০)ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে কাজল ইসলাম(২০)।
বুধবার ১৭ জানুয়ারি সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের ধোপাঘাটপুর নুরুল ইসলামের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে চোরাইপথে আনা ৫শত কেজি আমাদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনি সহ হাতেনাতে এই দুই চোরাকারবারি কে আটক করেছে বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেনের দিকনির্দেশনায় এসআই আলীম উদ্দিন,রফিজুল ও এএসআই নজরুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাটপুর এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় ধোপাঘাটপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়ির উঠান থেকে চোরাই পথে আনা ৫০০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনি উদ্ধার সহ ২ চোরাকারবারি কে আটক করতে সক্ষম হয়।উদ্ধারকৃত আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চিনির বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকা।
স্থানী সূত্রে জানা যায়, মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে বিভিন্ন ফাঁকফোকরে চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে এই চিনি সহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল সহজেই পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। বর্ষামৌসুমে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডার বিভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করে নৌকাযুগে অনায়েশে কলমান্দায় সরবারহ করে থাকে।শুকনো মৌসুমে নৌকা যুগে না নিতে পারায় তারা সড়ক পথে হ্যান্ডট্রলি, অটো দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।বিশেষ করে মধ্যনগর উপজেলার মহিষখোলা থেকে কালাগড়, ধোপাঘাট, গড়াকাটা, দুলাশিয়া হয়ে কলমাকান্দা এই রাস্তাকেই নিরাপদ ভেবে নিয়মিত অবৈধ পণ্যের ব্যবসা করে আসছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ী সহ একটি সিন্ডিকেট গ্রুপ আছে তারা তাদের স্বার্থে টাকা পয়সা খেয়ে,ও ভারতীয় মদের বিনিময়ে এই লাইন পরিচালনা করে আসছে। কেউ চিনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বললে বিভিন্ন ভাবে এই মাদক ব্যবসায়ীদের চক্র মিলে সামাজিকভাবে হেনস্তা করে থাকে বলে চিনি ব্যবসায়ীরা আরো সুযোগ পেয়ে থাকে।এমনকি তারা রাত জেগে মাদক সেবন করে পাহারা দিয়ে গন্তব্যে পৌছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।সাধারন মানুষ এই চিনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে কালবৈশাখীর ঝড় নেমে আসে তাদের উপর।তাই এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ চোখে দেখেও না দেখার বান করে আসছে।গুরুতর অভিযোগ করে একজন বলেন,চিনি ব্যবসায়ীরা মদ সহ মাদকের বিভিন্ন চালান চিনির বস্তায় করে এই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়। আর এই মাদক ব্যবসায়ীরা দেদারসে মাদক সেবন ও বিক্রি আসছে।যার ফলে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।নিয়মিত পুলিশের অভিযান পরিচালনা করা হলে অবৈধভাবে চোরাই পথে আনা এই চিনি ব্যবসার পাশাপাশি মাদক ব্যবসাও বন্ধ হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, ‘ গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে চোরাকারবারিদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :