মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পদ্মায় রজনীগন্ধা-৭ ফেরিডুবির ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির কারণে মাস্টার আনজুমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের নয়াকান্দি এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ওই মাস্টারকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান।
এর আগে, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান এয়ার লিফটিং ব্যাগ ও ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ভাসিয়ে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা-৭ ফেরিটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ফেরি উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ ঘোষণা করেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা-৭ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিটিকে টেনে নিয়ে মানিকগঞ্জের নয়াকান্দি এলাকায় নোঙ্গর করায়। পরে শুরু হয় ফেরি থেকে পানি অপসারণের কাজ।
এ বিষয়ে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, আটদিন ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল যৌথভাবে কাজ করে। এরপর বুধবার ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় এয়ার লিফটিং ব্যাগ ও ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়।
এর আগে, গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকা থেকে রজনীগন্ধা-৭ ফেরিডুবির ছয় দিন পর চালকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
বিআইডব্লিউটিএ’র দেয়া তথ্য মতে, ফেরি রজনীগন্ধা-৭ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের পন্টুনের অদূরে পদ্মা নদীতে নোঙর করে। ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়।
এরপর ডুবে যাওয়ার দিন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ গিয়ে একটি কভার্ডভ্যান ও একটি ট্রাক উদ্ধার করে। পরদিন আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ গিয়ে উদ্ধার করে তুলাবোঝাই একটি ট্রাক।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের পর একে একে অন্য ট্রাকও উদ্ধার করা হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :