এবার পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী ইটভাটা বা কারখানার বিরুদ্ধে আরও শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোন ভাটা বা শিল্পকারখানা থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে, তা জানতে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও ড্রোন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী একথা জানিয়েছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১০০ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচী ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। এতে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০২৮ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণ কাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১০০ দিনে ৫০০ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা পুরনো পদ্ধতিতে ইট উৎপাদন করছে, তারা আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদন শুরু করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কর্মসূচী অনুযায়ী শব্দ দূষন (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা হালনাগাদ করা হবে। প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করা হবে। পাহাড়, টিলা ও জলাধারের ম্যাপিং করা হবে। শিল্প কারখানায় ইটিপি চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।
জবরদখল হওয়া ১ লাখ ৮৭ হাজার একর বনভূমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ১০০ দিনের মধ্যে আরও ৫০ হাজার একর বনভূমি উদ্ধারের প্রস্তাব তৈরি করে জেলা প্রশাসকদের দেয়া হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হবে বলেও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
একুশে সংবাদ/জ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :