দিনে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও ক্ষণিকের রোদ শীতের তীব্রতা কমারে পারেনি। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন রাতে তেমন শীত অনুভূত হচ্ছে না। যদিও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ রয়েছে এক অঙ্কের ঘরেই।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় উত্তরের জেলা দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ ঢাকায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।
তবে অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার (৩০-৩১ জানুয়ারি) দেশের সাত বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে মঙ্গলবার ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন বুধবার ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল অস্থায়ীভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বুধবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
তবে বুধবার পর্যন্ত কুয়াশা ও এর প্রভাব বর্তমান সময়ের মতোই থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :