AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৬:৩৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন

স্পর্শকাতর মামলার বিচার ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ স্থায়ী করা হয়েছে। আইনটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল। তবে স্থায়ী হওয়ায় এখন থেকে ধাপে ধাপে এ আইনের মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে না।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম যখন বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়, তখন এর মেয়াদ ছিল দুবছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। নতুন করে আর মেয়াদ বাড়াতে হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় তুলেছিল। সচিব বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।

কেন স্থায়ী করা হলো, এ প্রশ্নে মাহবুব বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, আইনটির অনেক সুফল আছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে খুব কাজে লেগেছে, তাই আইনটি কন্টিনিউট করতে চাচ্ছে তারা।

রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের ওপর দ্রুত বিচার আইনের বেশি প্রয়োগ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই লাইনে আলোচনা হয়নি। আজ পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে এই আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা সেটি গ্রহণ করেছে।

এরআগে ২০১৯ সালের ২৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। তখন আইনটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছিল। যেই মেয়াদ ৯ এপ্রিল শেষ হবে।

তখনকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, এটার (দ্রুত বিচার আইন) একটা মেয়াদ থাকে, সেই মেয়াদ চলতি বছর এপ্রিলে শেষ হয়ে গেছে। এজন্য মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হচ্ছে।

আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন। দ্রুত বিচার আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে।

দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।

এছাড়া মন্ত্রিসভায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইন-২০২৪ এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এ আইনের ভোটিংয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। তখন সংসদে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে পাস করা যায়নি। কাজেই ফের এটি সংসদে নিতে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়েছিল। সংসদে নেয়ার জন্য মন্ত্রিসভা আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভার আজ চারটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রুলস অব বিজনেস অনুসারে, বছরে চারবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগের তিন মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি জানাতে হয়। প্রথম এজেন্ডা ছিল মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরা। আমরা সেটা জানিয়েছি।

এদিকে একাদশ সংসদে পাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল, কিন্তু পাস করা হয়নি এমন ছয়টি আইনকে মন্ত্রিসভায় নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে।


একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা

Link copied!